অর্থভুবন ডেস্ক
পুরান ঢাকার চকবাজার থানার নলগোলা এলাকায় উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করেপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিরুদ্ধে মার্কেটের দোকান ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নলগোলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতারা। লিখিত বক্তব্য পড়েন ব্যবসায়ীদের আইনজীবী মশিউর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভাওয়াল রাজ এস্টেটের ১ একর ৮ শতাংশ জমি ২০১৩ সালে জমি ভূমি সংস্কার বোর্ড থেকে নিজ নিজ নামে লিজ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন ৬৫ জন ব্যবসায়ী। গত ১৩ এপ্রিল জমিটি সিটি করপোরশনের নামে দেওয়ার জন্য ডিএসসিসি ভূমি সংস্কার বোর্ডে আবেদন করে। ভূমি সংস্কার বোর্ড থেকে গত ৪ জুন ডিএসসিসিকে জানানো হয়, এই সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া সম্ভব নয়।
লিখিত অভিযোগে ব্যবসায়ীরা বলেন, ৬৫ জন্য ব্যক্তি জমি লিজ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। লিজের টাকা গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছে। লিজের শর্ত মোতাবেক প্রত্যেকেই আলাদা সেমি পাকা ঘর তুলে ব্যবসা করছেন। ডিএসসিসি জমিটি নিতে চাইলে ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টে রিট করেন। পরে আদালত ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযানের ওপর স্থগিতাদেশও দেন।
সমিতির নেতারা বলেন, কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়া আইন অমান্য করে এ দোকানঘরগুলো ভেঙে ফেলায় প্রায় ৩০ কোটির টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি দোকানেই প্রচুর মালামাল মজুত ছিল।
যাবতীয় কাগজপত্র ও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সিটি করপোরেশন ৪৭ নং নলগোলা ব্যবসায়ী সমিতির মার্কেট দখল করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেন ব্যবসায়ী নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে নল গোলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির মো. আকরাম হোসেন, মো. বাবুলসহ ৬৫ জন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
পরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের সেলফোনে কয়েক দফা কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে এসএমএস পাঠানো হলেও কোনো জবাব দেননি।