অর্থভুবন ডেস্ক
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।’
গতকাল জাতীয় সংসদের স্পিকারের কার্যালয়ে তার সঙ্গে নেপালের ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্য প্রদীপ পাউডেল এমপির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিটসহ বিভিন্ন বিষয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
‘রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিট ২০২৩’ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিনিধিদের আন্তরিক অংশগ্রহণ এ অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অবদান রাখবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিটে বিভিন্ন দেশের ক্লাইমেট পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের পারস্পরিক আলোচনা দেশগুলোর জলবায়ু সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিশ্রুত সহযোগিতা এখনো বাংলাদেশ পাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের পারস্পরিক সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-নেপাল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। নেপাল নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে যে মাত্রায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করছে তা প্রশংসনীয়।’
নেপাল ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্য প্রদীপ পাউডেল এমপি বলেন, ‘রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিটে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে কার্যকর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ তিনি বাংলাদেশের আতিথেয়তা এবং সামিটের সফলতার প্রশংসা করেন।