অর্থভুবন ডেস্ক
মা জায়েদা খাতুনকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী করে আনা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এসময় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগ করি। এটা কেউ মানুক আর না মানুক, সেটা তাদের ব্যাপার। আমার মাও জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগার। আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবেই আছি। আমরা মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর কাছে এসেছি, নেত্রীর বাড়িতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা সহযোগিতা চাই।’
ভোটে জয়ের তিন দিনের মাথায় রবিবার (২৮ মে) সকালে গাজীপুর থেকে গাড়িবহর নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন ও ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় গাজীপুরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থন চান তারা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে আমি সবার সহযোগিতা নেব। সবার সঙ্গে মিলেমিশে, সহযোগিতা নিয়ে উন্নয়নের কাজ করব। উন্নয়নের কাজে আমার ছেলে জাহাঙ্গীরও সঙ্গে থাকবে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ঘরোয়া এক আলোচনায় বঙ্গবন্ধু ও একাত্তরে শহীদদের নিয়ে মন্তব্য করে বেকায়দায় পড়েন জাহাঙ্গীর। বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার অভিযোগে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গাজীপুরে নিয়মিত বিক্ষোভ ও পালটা কর্মসূচির মধ্যে নভেম্বরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে। পরে জাহাঙ্গীরের আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি দলের শৃঙ্খলা মেনে চলার শর্তে তাকে ক্ষমা করে আওয়ামী লীগ।
কিন্তু এর চার মাস না যেতেই নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে বিদ্রোহ করেন তিনি। নিজের পাশাপাশি মায়ের নামেও মনোনয়নপত্র কেনেন। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হন আওয়ামী লীগ থেকে।
এদিকে ভোটের প্রচারকালেই জায়েদা বলেছিলেন, তিনি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার ছেলের নামে ক্ষমা চাইবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির সাক্ষাৎ চেয়ে তিনি আবেদন করেছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা সময় দিয়েছেন কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
বহিষ্কারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমার বিষয় না, দলের বিষয়। দল যা ভালো বুঝবে, সেটাই করবে।