অর্থভুবন ডেস্ক
পরনে নেভি ব্লু স্যুট। মাথার ওপরে পরিপাটি হয়ে আছে ধূসর-বাদামি চুল। পাক ধরেছে ভ্রুতেও। চওড়া কপালের পরতে পরতে বার্ধক্যের ভাঁজ। হাতের আঙুলগুলোতেও স্পষ্ট বয়সের ছাপ। সাদা চামড়ায় ভেসে উঠেছে শিরা-উপশিরা অস্তিত্ব। রাজকীয় ভঙ্গিতে আছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গুনে গুনে ৮০ বছরে পা, তবু তারুণ্য যেন নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করছে চোখে-মুখে।
রোববার ভিয়েতনাম সফরে বাইডেনের এ তারুণ্য দেখেই বোধ হয় তাক লেগে যায় দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নগওয়ে ফু ট্রংয়ের (৭৯)। রাজধানী হ্যানয়ের প্রেসিডেন্ট প্যালেসের এক বৈঠকে বলেন, ‘আপনার বয়স যেন একদিনও বাড়েনি। আমি বলব যে, আপনাকে আগের চেয়ে আরও তরুণ দেখাচ্ছে। আপনার প্রতিটি বৈশিষ্ট্য, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আপনার ইমেজের জন্য অত্যন্ত প্রশংসাসূচক।’
ট্রংয়ের এ উষ্ণ প্রশংসাসূচক মন্তব্যে মুচকি হেসেছিলেন বাইডেন। পরে বলেন, ‘আমি বৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্য ভালো নেই।’ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আগামী বছর নির্বাচনে তার সবচেয়ে বড় বাধা এই বয়স। যদি তিনি পরের বছর পুনরায় নির্বাচিত হন তবে ৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত হোয়াইট হাউজে থাকবেন। আর এটাই মেনে নিতে পারছেন না মার্কিনিরা।
হোয়াইট হাউজ তার অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং কূটনৈতিক সাফল্য নিয়ে গর্ব করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাইডেনের বয়স ভোটে একটি প্রধান প্রতিবন্ধকতা। প্রায় ৭৩ শতাংশ ভোটার তার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। অনেকের ধারণা তিনি ঠিকঠাক চলাফেরা করতে পারেন না, বক্তৃতাও মাঝে মাঝে ঝাপসা হয়ে আসে। যেখানে ৭৬ শতাংশ ভোটার দ্বিতীয় মেয়াদে অফিসে টিকে থাকার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বাইডেনের শেষ মেডিকেল চেক-আপে ডাক্তার তাকে ‘শক্তিশালী’ এবং ‘সুস্বাস্থ্য’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। অথচ হ্যানয়ের সংবাদ সম্মেলনের সময় বেশ দুর্বলই লাগছিল বাইডেনকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ সম্পর্কে জানি না, তবে আমি বিছানায় যাচ্ছি।’