অর্থভুবন ডেস্ক
অনেকে বাজারের নোট পড়ে মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখে। এতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতায় ক্ষমতা হ্রাস পায়। এ কারণে শিক্ষকরা এ ধরনের গৎবাঁধা উত্তর লেখাকে নিরুৎসাহিত করেন, বরং শিক্ষার্থী যদি নিজের ভাষায় উত্তর লেখে তাতে পরীক্ষক খুশি হন। বেশি নম্বর দেন।
পরিচ্ছন্ন বাক্য : উত্তর সহজ বোধগম্য পরিচ্ছন্ন বাক্যে লেখো। একের পর এক বাক্যে তোমার উত্তরটি গড়ে ওঠে। তাই বাক্যগুলো পরিচ্ছন্ন হলে সম্পূর্ণ লেখাটিও পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর হবে। তাই গোছানো উত্তর লিখতে প্রথমেই বাক্য গঠনে মনোযোগ দাও।
প্রাসঙ্গিক উত্তর : অনেকের একটি ধারণা বেশি লিখলেই বুঝি বেশি নম্বর পাওয়া যাবে। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। বরং অপ্রাসঙ্গিক কথা লিখলে নম্বর কম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ অপ্রাসঙ্গিক কথা দেখলে পরীক্ষক বিরক্ত হন। পরীক্ষা ভালো করতে হলে তাই প্রশ্নে যতটুকু জানতে চাওয়া হয়েছে গুছিয়ে ততটুকুই লিখতে হবে। প্রাসঙ্গিক আলোচনা অল্প হলেও ক্ষতি নেই। তাতেই সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সম্ভব।
অনুচ্ছেদ ভাগ করে লেখো : তোমার উত্তরকে বিভিন্ন অনুচ্ছেদে ভাগ করে নায়। তাদের উপযুক্ত শিরোনাম দাও। এতে উত্তরে তুমি কী লিখেছ শিক্ষক একনজরেই তা বুঝতে পারবেন। উত্তরটি পড়ে দেখতে আগ্রহী হবেন।
উদাহরণ ও রূপক ব্যবহার করো : উত্তরটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে উদাহরণ ও রূপক ব্যবহার করো। রূপকের ব্যবহারের ফলে লেখার গুণগতমান উন্নত হয়। তা ছাড়া রূপক ব্যবহারের ফলে কঠিন বিষয়টিও সহজে বোঝা যায়। তাই রূপকের ব্যবহার তোমার লেখাকে আরও সহজবোধ্য করে তুলবে। সংজ্ঞা দাও, ব্যাখ্যা করো প্রশ্নে ইত্যাদি শব্দগুচ্ছ যুক্ত থাকলে বুঝতে হবে যে, উত্তরের সঙ্গে উদাহরণ দিতে হবে। উপযুক্ত উদাহরণ দিলে শিক্ষক বুঝবেন যে, উত্তরদাতা (তুমি) বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছ। উদাহরণ না চাইলেও কোনো কঠিন বিষয় আলোচনা করার সময় উদাহরণ দিতে পার। এতে লেখা সহজবোধ্য হয়।
লেখার মাঝে জায়গা ছাড়ো : লেখার সময় শব্দ থেকে শব্দ, লাইন থেকে লাইন ফাঁক রেখে লেখো। হাতের লেখা যেমনই হোক না কেন, ফাঁকা ফাঁকা করে লিখলে দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি পরীক্ষকের পড়তেও সুবিধা হয়। পরীক্ষকের পড়তে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি পড়তে না পারলে যথাযথভাবে মূল্যায়নও করতে পারবেন না। তাই তোমার লেখা সহজে পাঠ উপযোগী করে তুলতে একটি শব্দ থেকে অপর শব্দ এবং একটি লাইন থেকে অপর লাইন কিছু ফাঁক রাখো।