অর্থভুবন ডেস্ক
..আপনাদের মনে করিয়ে দিই সেই সময়ের কথা, যখন ভারত তার সভ্যতার স্বর্ণচূড়ায়। একের পর এক জগদ্বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় তখন এখানে। যখন কোনো বাতি জ্বালানো হয়, তা একটি ছোট ক্ষেত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তা গোটা বিশ্বের সম্পদ হয়ে ওঠে। ভারতের এবং তার বর্ণময়, দ্যুতিপ্রভ, জ্ঞানমন্ত্র সভ্যতা শুধু তার সন্তানদের জন্যই বরাদ্দ রাখেনি নিজেকে। গোটা মানবজাতির কাছেই সে নিজের দরজা খুলে দেয়। চীন, জাপান, পারশ্য সব বিভিন্ন জাতির মানুষ আসেন। ভারতের সেরাটুকু আহরণ করার সুযোগ ছিল তাঁদের। ভারত তার শ্রেষ্ঠ সম্পদ দরাজ হস্তে বিতরণ করে গেছে। আমাদের দেশে শিক্ষাদানের বিনিময়ে কোনো পার্থিব মূল্য নেওয়ার ঐতিহ্য ছিল না। কারণ, আমরা মনে করি, যিনি জ্ঞান ও শিক্ষা পান, তাঁর দায়িত্ব বর্তাল অন্য ছাত্রের মধ্যে তা সঞ্চারিত করার। শুধু ছাত্ররাই এসে শিক্ষকদের কাছে নতজানু হয়ে জ্ঞানভিক্ষা করবে না, শিক্ষকেরাও তাঁদের জীবনের ধর্ম পালন করবেন তা তুলে দিয়ে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গোড়াপত্তনের মূল কথা ছিল এটাই। ভারতে যে অনন্ত রত্ন সঞ্চিত আছে, তাকে প্রকাশ করার বাসন।
কিন্তু এখন সময় এসেছে, আর কোনো সুযোগ আমাদের হাতছাড়া করা উচিত নয়। নিজেদের সেরাটুকু অবশ্যই বের করে আনা উচিত এখন। অন্যদের সামনে নিজেদের দারিদ্র্য প্রদর্শনের জন্য এক শতক থেকে অন্য শতকে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করা প্রয়োজন। আমরা জানি যে উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা কী সম্পদ পেয়েছি, কেন আমরা গর্বিত। সেই সম্পদ অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ ছাড়া ঠিক নয় আর।
নোবেল পুরস্কার পাওয়া প্রথম বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরস্কারটি পান ১৯১৩ সালে।