Saturday, December 7, 2024

জিল্যান্ডিয়া বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এবং সবচেয়ে কম বয়সী মহাদেশ

অর্থভুবন ডেস্ক

পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ আছে- এটিই এতদিন আমরা জেনে এসেছি। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন- নিউজিল্যান্ডে পানির নিচে লুকিয়ে আছে আরেকটি মহাদেশ, যার নাম দেওয়া হয়েছে জিল্যান্ডিয়া (নিউজিল্যান্ড+ইন্ডিয়া)। আকারে নাকি এটি প্রায় ভারতীয় উপমহাদেশের সমান। প্রায় ৩৭৫ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল অষ্টম এই মহাদেশটি। অবশেষে তা আবিষ্কার করেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। সর্বশেষ আবিষ্কার হওয়া এই মহাদেশটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে কম বয়সী বলেও দাবি করা হচ্ছে।

 

গবেষকরা সমুদ্রের তলদেশ থেকে উদ্ধার করা ড্রেজড রক নমুনা থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে এই মহাদেশটি খুঁজে পেয়েছেন। ভূতাত্ত্বিক ও সিসমোলজিস্টদের একটি দল এই মহাদেশটির একটি মানচিত্রও তৈরি করেছেন। জিল্যান্ডিয়া ১ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন বর্গমাইল আয়তনের একটি বিশাল মহাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব দিকের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এ মহাদেশটি।

ভূ-বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন মহাদেশটির প্রায় ৯৪ শতাংশই পানির নিচে। মাত্র অল্প কিছু অঞ্চল পানির ওপর মাথা তুলে আছে, নিউজিল্যান্ডের নর্থ ও সাউথ আইল্যান্ড এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড আসলে এই মহাদেশের জেগে থাকা অংশ। বলা যেতে পারে এই মহাদেশের পবর্তচূড়া। জিল্যান্ডিয়া প্রায় ৫৫ কোটি বছর আগে গন্ডোয়ানা নামে একটি বৃহৎ মহাদেশের অংশ ছিল। গন্ডোয়ানা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ৮৩-৭৯ মিলিয়ন বছর আগে এটি পানিতে তলিয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন

তাদের এই নব-আবিস্কৃত তলিয়ে যাওয়া ভূখণ্ডের জন্য মহাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের। একটি মহাদেশের স্বীকৃতি পেতে যা যা দরকার, জিল্যান্ডিয়া তার সবকটি পূরণ করেছে বলেও দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। যেমনÑ আশপাশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে উঁচু হতে হবে, সুস্পষ্ট কিছু ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা থাকতে হবে এবং সমুদ্র তলদেশের চেয়েও পুরু ভূ-স্তর থাকতে হবে।

এর আগে ডাচ ব্যবসায়ী ও নাবিক আবেল তাসমান ১৬৪২ সালে প্রথম এই মহাদেশের অস্তিত্বের কথা জানান। তখন তিনি ‘দক্ষিণ মহাদেশ’ বা টেরা অস্ট্রালিস আবিষ্কারের নেশায় মরিয়া ছিলেন। তেমন কোনো ভূখণ্ডের খোঁজ না পেয়ে একপর্যায়ে তিনি অবতরণ করেন নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণের এক দ্বীপে। সেখানে স্থানীয় আদিবাসী মাওরিদের সঙ্গে কথা বলেই তিনি পানিতে নিমজ্জিত বৃহৎ এই স্থলভাগের কথা জানতে পারেন। মাওরিদের ভাষায় এটিকে টে-রিউ-এ-মাউয়িই বলা হয়।

২০১৭ সালে জিল্যান্ড ক্রাউন রিসার্চ ইনস্টিটিউট জিএনএস সায়েন্সের ভূতাত্ত্বিকরা মহাদেশটির অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হন। ভূতত্ত্ববিদ নিক মর্টিমার পুরো বিষয়টি নিয়ে সংগঠিত হওয়া গবেষণার নেতৃত্ব দেন। তবে নব-আবিষ্কৃত এই মহাদেশটিকে এখনো স্বীকৃতি না দেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক কারণকে দায়ী করছেন নিউজিল্যান্ডের গবেষকরা। এই মহাদেশকে স্বীকৃতি দিলে নিউজিল্যান্ডকে আর ওশেনিয়ার অংশ বলা যাবে না। কারণ একই ভূখণ্ডের কিছুটা উঠে এসেছে সমুদ্রের ওপরে। আর তারই নাম নিউজিল্যান্ড। ফলে নিউজিল্যান্ডের সীমানা বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে রাজনৈতিক ক্ষমতাও। সব কিছুর পরেও এই মহাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলবে কিনা, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

spot_imgspot_img

ছবিটা তুলে রাখুন ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে : ড. ইউনূস

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।...

মায়ের ঘুমপাড়ানি সুর শান্তিধারা

আমাদের জোনাকজ্বলা গ্রাম বিদ্যুৎ তখনও দেখেনি। সন্ধ্যার কাছে বিকেল নতজানু হতেই সবুজ পাহাড়েরা মিশকালো হয়ে যায়। ফলে- আমরা চালের ফুটো দিয়ে চাঁদ দেখি, আর...

মাহবুবা ফারজানা নতুন তথ্য সচিব

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বেগম মাহবুবা ফারজানা। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) ছিলেন। তাকে সচিব পদে পদোন্নতি...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here