অর্থভুবন ডেস্ক
প্রথমদিনেই চমক দেখালেন পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা। দেশটির বিচারিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লাইভ সম্প্রচার হলো সুপ্রিমকোর্টের শুনানি। এখানেই শেষ নয়, সামনের দিনগুলোতেও দেশটির গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো লাইভ-স্ট্রিমিংয়ে দেখানো হবে। এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের ‘ফুল কোর্ট’। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘পিটিভি’তে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে মামলার রায়গুলো। শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি সম্পূর্ণ আদালতের (ফুল কোর্টের) বৈঠক ডাকেন। সম্প্রচারের বিষয়টি কার্যধারার শুরুর আগে বৈঠকে চূড়ান্ত করা হয়। এ লক্ষ্যে আদালতের এক নম্বর কক্ষে পাঁচটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের গ্যালারিতে চারটি ক্যামেরা এবং বিচারকদের সামনে ও আইনজীবীদের বক্তৃতা মঞ্চে একটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। সোমবার সরাসরি এ কার্যক্রম দেখতে চোখ স্থির করে বসেছিলেন উৎসুক জনতা। জিও নিউজ।
প্রধান বিচারপতি ছাড়াও সরদার তারিক মাসুদ, বিচারপতি ইজাজুল আহসান, সৈয়দ মনসুর আলী শাহ, মুনিব আখতার, ইয়াহিয়া আফ্রিদি, আমিনুদ্দিন খান, সৈয়দ মাজাহার আলী আকবর, জামাল খান মান্দোখেল, মুহাম্মদ আলী মাজহার, আয়েশা এ মালিক, আতহার মিনাল্লাহ, সৈয়দ হাসান আজহার রিজভি, শহিদ ওয়াহেদ এবং মুসাররাত হিলালিও উপস্থিত ছিলেন। সুপ্রিমকোর্টের ‘প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর অ্যাক্ট-২০২৩’ এর ওপর কয়েকটি রিটের শুনানি লাইভে হবে। এই আইনের অধীনে জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো সাংবিধানিক বিষয়ে তিনজন বিচারকের কমিটি গঠন হয়, যাকে ‘সুয়ো মুটো’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। আইন বাস্তবায়নের ওপর সুপ্রিমকোর্টের আট সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চ ১৩ এপ্রিল স্ট্রে অর্ডার দেয়। জুনের শুনানিতে সুপ্রিমকোর্ট (রিভিউ অব জাজমেন্টস অ্যান্ড অর্ডারস) অ্যাক্ট-২০২৩ এবং সুপ্রিমকোর্ট (প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর) অ্যাক্ট-২০২৩ নিয়ে পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল মানসুর উসমান আওয়ানের সঙ্গে আলোচনা হয় যে, পার্লামেন্ট এই দুটি আইনকে সুসঙ্গত হিসাবে দেখতে পারে। তারপর সাবেক প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিায়াল জানান, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত যেকোনো আইন নেওয়ার সময়ে শীর্ষ আদালতকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে এ আইনটি প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতিসহ জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের নোটিশ নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আইনের আরও লক্ষ্য হলো সর্বোচ্চ আদালতে স্বচ্ছ কার্যক্রম পরিচালনা এবং আপিল করার অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা। এতে আরও বলা হয়, কমিটির সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নেওয়া হবে।