Sunday, October 6, 2024

গবেষক হয়ে ওঠো ধাপে ধাপে

অর্থভুবন প্রতিবেদক

গবেষণা কী 
গবেষণা মানেই হলো কোনো বিষয় সম্বন্ধে অনুসন্ধান ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি ফল বা সিদ্ধান্তে আসা। গবেষণা যে শুধু বিজ্ঞানীদের করতে হয়, এমনটি নয়। তোমার উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রেও গবেষণা লাগবে। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের উন্নয়নের জন্য কিংবা বাজারে টিকে থাকার জন্যও গবেষণা করে থাকে। গবেষক যে টপিক নিয়েই গবেষণা করেন না কেন, উদ্দেশ্য একটাই—মানুষের জীবনে তাঁর এই গবেষণা যাতে কোনো নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

গবেষণার মাধ্যমে একটা নতুন উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব। আরেকটু বিশদভাবে বললে, গবেষণা হলো নতুন জ্ঞান প্রাপ্তির প্রক্রিয়া, যেখানে বিশেষ বিষয়ে মূল্যায়ন, উত্তরণ, বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা এবং নতুন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নতুন জ্ঞান তৈরি হয়। গবেষণায় সাধারণভাবে বিশেষ সমস্যা বা প্রশ্নের সমাধান খোঁজার প্রক্রিয়াও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। 

কখন করবে গবেষণা 
স্কুল-কলেজে পড়ার সময় একাডেমিক কাজে গবেষণার দরকার হয় না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় থিসিস/প্রজেক্ট বা গবেষণা করতে হয়। এখন প্রশ্ন থাকতে পারে, তাহলে গবেষণার হাতেখড়ি কখন হবে? স্কুল-কলেজে অধ্যয়নের সময়ই গবেষণায় আগ্রহ তৈরি করো। এখন ভাবতে পারো, গবেষণার নাম শুনলেই তোমার কাছে একটা গুরুগম্ভীর ভাব চলে আসতে পারে।

কিন্তু গবেষণাকে যদি তোমার কৌতূহল মেটানোর কৌশল হিসেবে বেছে নাও, তাহলে আগ্রহ এমনিতেই চলে আসবে। বিভিন্ন গবেষণা নিবন্ধ পড়ার চেষ্টা করতে পারো। স্কুল-কলেজে থাকা অবস্থায় যে অনেক কঠিন গবেষণা নিবন্ধ বুঝবে, এমনটি নয়। পাবমেড, রিসার্চগেট কিংবা গুগল স্কলারে ঢুকে কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে তোমার আগ্রহের টপিকের গবেষণা নিবন্ধ পড়তে পারো। এ ছাড়া ইউটিউবে গবেষণার হাতেখড়ি নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও আছে, সেগুলোও দেখে নিতে পারো। তবে গবেষণায় মূল কাজ হলো গবেষণার প্রশ্ন তৈরি করা। 

কীভাবে হবে গবেষক
গবেষণার মূল উদ্দেশ্যেই হলো একটি প্রশ্নের উত্তর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খুঁজে বের করা। আর এ জন্য প্রথমে প্রশ্ন ডিজাইন করতে হয়। এরপর সম্ভাব্য উত্তর কী হতে পারে তা লিখে ফেলা। পরের ধাপে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার জন্য পড়াশোনা করা ও পরীক্ষণ কিংবা অনুসন্ধান চালানো। চূড়ান্ত ধাপে এসে কোনটা সঠিক সেটা এই অনুসন্ধান বা পরীক্ষণ থেকে বের করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। বিস্তারিত করে বললে প্রথম ধাপে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্ন বা সমস্যা নির্ধারণ করা হয়, যা গবেষণার মৌলিক উদ্দেশ্য থাকে।

এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য গবেষণার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এটি প্রাথমিক এবং দ্বিতীয় স্তরের তথ্য অর্জন করার মাধ্যমে হতে পারে, যেমন পুস্তক, নিউজ পেপার, জার্নাল, অনুসন্ধান প্রতিবেদন, সার্ভে অথবা অনলাইন সূত্রের মাধ্যমে। সংগৃহীত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে সমস্যার সমাধানে সাহায্য করার জন্য সঠিক প্রমাণ বা তথ্য দেওয়া যায়। পরের ধাপে তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হাইপোথিসিস (আগ্রহ) তৈরি হয়। এটি সমস্যার সমাধানের সম্ভাব্য উপায় বা উত্তরের দিকে নিয়ে যায়। হাইপোথিসিসগুলো পরীক্ষা ও তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে তুলনার মাধ্যমে তাদের যাচাই করা হয়। পরীক্ষায় যাচাই করার পর ফল প্রস্তুত করা হয়। 

গবেষণায় যোগাযোগ দক্ষতা ও নেটওয়ার্কিং
গবেষণাকে অন্য মানুষের সামনে উপস্থাপন করার দক্ষতা থাকা লাগবে। বিভিন্ন কনফারেন্সে তোমার গবেষণা পেপার উপস্থাপন করা লাগতে পারে। তাই যোগাযোগ দক্ষতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অডিয়েন্সের সামনে যদি তোমার গবেষণা আইডিয়া উপস্থাপন না করতে পারো, তাহলে তোমার পরিশ্রমটাই বৃথা। এ ছাড়া গবেষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বা তাদের পরামর্শ নিতে সুন্দরভাবে ইমেইল করতে জানতে হবে। নেটওয়ার্কিং বাড়াতে হবে।

spot_imgspot_img

ইসরাইলে হামলার ঘটনা হস্তক্ষেপ না করতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইরান

 ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগশি বুধবার ইসরাইলে ইরানের হামলার ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপ না করতে সতর্ক করেছেন। তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, বার্তাটি তেহরানের সুইস...

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইশিবাকে অভিনন্দন চীনের শি’র

একটি ‘গঠনমূলক ও স্থিতিশীল’ সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগকে স্বাগত জানিয়ে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বেইজিং থেকে আজ...

জাতিসংঘের প্রধানকে ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা ইসরাইলের

ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সুনিদিষ্টভাবে নিন্দা করতে ব্যর্থতার অভিযোগে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা করেছে ইসরাইল।  আজ বুধবার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎজ’র এক বিবৃতির উদ্ধৃতি...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here