অর্থভুবন ডেস্ক
আব্দুল্লাহপুর থেকে ধৌর ব্রিজ পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের শতকোটি টাকার জমি অবৈধ দখলে। উত্তরা ১০নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইনসাফ আলী ওসমানী জানান, এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে মাসে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালী চক্র। তৈরি করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা, গাড়ির গ্যারেজ, খাবার হোটেল, ওষুধের দোকান, সরকারদলীয় একাধিক অফিস, কাঠ-বাঁশের গোডাউন, রিকশার গ্যারেজ, বাস-ট্রাক. সিএনজি ও পিকআপ স্ট্যান্ড, নার্সারি, গাড়ি মেরামতের কারখানা চা-পানের দোকানসহ কয়েকশ’ দোকান। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা জরুরি উল্লেখ করে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে তা করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ৩০ আগস্ট ১০নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্যাডে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, রানাভোলা এভিনিউ সড়কের পূর্বপাশে ১১নং সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত রাস্তা হতে ১০ নং সেক্টরের ২৪নং রাস্তা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনা, দোকানপাট তেরি করাসহ দূরপাল্লার গাড়ির কাউন্টার হওয়ায় প্রতিনিয়ত তীব্র যানজট হচ্ছে। রাতে দোকানে আড্ডা, নেশাজাত দ্রব্য বেচাকেনা, চুরি-ছিনতাই সংঘটিত হচ্ছে। ফলে আবাসিক এলাকার পরিবেশ নষ্টসহ শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ বিষয়ে ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অফিসে বাসিন্দাদের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ আসছে-যা যেকোনো মুহূর্তে মানববন্ধনসহ আন্দোলনে রূপ নিতে পারে। একটি আবাসিক এলাকায় এ ধরনের অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কখনোই কাম্য নয়। উল্লেখ্য, এখানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিসহ অনেকেই বসবাস করেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত যুগান্তরকে জানান, ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য বাজেট চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী একেএম তাহমিদুল ইসলাম জানান, সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার বিষয়ে মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি অভিযান পরিচালনা করা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ এবং অনেকের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। শিগগিরই সবার সঙ্গে আলোচনা করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।