শরীরে প্রবেশের পর ওষুধ কিভাবে কাজ করে কখনো ভেবেছেন? ওষুধ শরীরে কতটুকু কাজ করবে, তা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। দেহে ওষুধের কর্ম প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ।
ওষুধের কাজ নিয়ে ওষুধবিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা আছে। এর নাম ‘ফার্মাকোকাইনেটিক্স’ (ওষুধের ক্রিয়া)।
থেরাপিউটিক টার্গেট
ওষুধ নানাভাবে শরীরে প্রয়োগ করা হয়। যেমন : মুখের মাধ্যমে, ত্বকের মাধ্যমে, শ্লেষ্মা ঝিল্লির মাধ্যমে নাসিকাপথে, ফুসফুসে শ্বাসনলের পথে শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে বা পেশিতে ইনজেকশন দিয়ে বা শিরাপথে ইনজেকশন দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ওষুধ পৌঁছানো হয়।
শরীরে প্রবেশের পর কী হয়?
শোষণ : ওষুধ প্রয়োগের পর তা রক্তস্রোতে শুষে নেয় শরীর। শুষে নেওয়ার পরিমাণ কিছুটা নির্ভর করে কোন পথে দেওয়া হলো আর এর মলিকিউলার গুণাগুণের ওপর।
বিতরণ : ওষুধ একবার রক্তস্রোতে চলে এলে রক্ত দেহের সব যন্ত্রকে ভেদ করে একে সারা শরীরে বিতরণ করে। নির্দিষ্ট টার্গেটে যাতে ওষুধ পৌঁছায় তা নিশ্চিতে ওষুধবিজ্ঞানীরা এর মলিকিউলের রাসায়নিক গঠন সেভাবে বদলে দেন।
বিপাক বা মেটাবলিজম : শরীর কিন্তু ওষুধকে দেখে বিদেশি অণু হিসেবে।
রেচন : বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওষুধ শরীর থেকে বেরিয়ে যায় কিডনির মাধ্যমে মূত্রের সঙ্গে। অল্প কিছু মেটাবলাইট ত্বক, ঘাম, পিত্তরস, দুধ এসবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। ওষুধবিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেন, শরীর থেকে ওষুধ কিভাবে বেরিয়ে যায়। মেটাবলিজম আর রেচনের মাধ্যমে ওষুধ বেরিয়ে যাওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানে বলে ‘ক্লিয়ারেন্স’।