Friday, July 26, 2024

ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতা

ডা. আনোয়ারুল আনাম কিবরিয়া

বিশ্বে প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর কারণ ক্যান্সার। ক্যান্সারে যারা মারা যান তাদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। 
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত এক চতুর্থাংশ রোগী মাত্র পাঁচ বছরের মতো বেঁচে থাকেন। অবশ্য প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা হলে এই হার ৬৫ শতাংশে দাঁড়ায়। কিন্তু তা হয় না। প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন ততক্ষণে রোগ ফুসফুস ছাড়িয়ে ছড়িয়ে যায়। 
আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসকের কাছে দেরিতে আসার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে বুঝতে না পারা এবং অবহেলা করা। ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান উপসর্গ হচ্ছে কাশি। দীর্ঘমেয়াদি কাশির ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 
কাশির সঙ্গে রক্তপাত ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যান্য লক্ষণ হচ্ছে বুকে ব্যথা, শ্বাস-কষ্ট, ক্লান্তি ও অবসাদ, ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধা মন্দা।
ফুসফুসের ক্যান্সার প্রাণঘাতী রোগ হলেও তা ঠেকিয়ে দেওয়ার পথও আছে। ধূমপানের সঙ্গে ফুসফুসের ক্যান্সারের রয়েছে গভীর যোগসাজশ। ধূমপান মানে কেবল সিগারেট নয়– সিগার, পাইপ, হুক্কাও এর অন্তর্ভুক্ত। ধূমপায়ী যে কেবল নিজের ক্যান্সারের 
কারণ হয় তা-ই নয়, তার আশপাশে 
যারা থাকেন তাদেরও ক্ষতি করে। একে আমরা বলি ‘পরোক্ষ ধূমপান’। পরোক্ষ ধূমপায়ীর ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত 
হওয়ার ঝুঁকি অবশ্য সরাসরি/প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীর চেয়ে কম। 
বায়ুদূষণও ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ। 
যাদের পরিবারে ফুসফুসের ক্যান্সারের 
রোগী আছেন তারা অন্যদের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসার সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হচ্ছে সময়। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে রোগ নিরাময় সম্ভব। সে ক্ষেত্রে অপারেশন বেশ কার্যকর। যাদের শারীরিক অবস্থা অপারেশনের জন্য প্রতিকূল তাদের জন্য বিকল্প হচ্ছে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি। শুধু অপারেশন অথবা শুধু কেমো-রেডিওথেরাপি কিংবা উভয়ই চিকিৎসার হাতিয়ার হতে পারে। কোনটি সঠিক হাতিয়ার হবে, তা নির্ভর করে রোগের ঠিক কোন পর্যায়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তার ওপর। 
এই কারণে প্রাথমিক অবস্থায় ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারা খুব জরুরি। এটা অনেকটা ছাঁকনির মতো কাজ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এ পদ্ধতির নাম স্ক্রিনিং। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে এই স্ক্রিনিং করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তা নির্ধারণ করেন।
ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে বাঁচার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে– ধূমপান পরিহার করা, পরোক্ষ ধূমপান এড়িয়ে চলা, বায়ুদূষণ প্রতিহত করা।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, থোরাসিক সার্জারি বিভাগ, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর থোরাসিক সার্জারি

 
 
spot_imgspot_img

ইস্ট আম্বার চাল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক

বর্ষার সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে আদি চালের বাইরে সাদা সাদা ইস্ট জমে। এটা মূলত প্রাকৃতিক ইস্ট। যা পাউরুটিকে নরম তুলতুলে...

দক্ষ জনশক্তি গড়তে ১১৭ কোটি টাকা দিল কোইকা

নিজস্ব প্রতিবেদক,অর্থভুবন দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে ১১৭ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)। গতকাল বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান...

বাকিংহাম প্যালেস : এবার ব্যালকনির পেছনের ঘরটি দেখার সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক,অর্থভুবন বিশেষ বিশেষ দিনে বা ঘটনার ক্ষেত্রে বাকিংহাম প্যালেসের ব্যালকনি থেকে দেশবাসীর সামনে দেখা দিয়ে থাকেন রাজা বা রানিসহ ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা। সে কারণে...

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here