আইটি ডেস্ক,অর্থভুবন
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নাগরিক সেবাকে আরও সহজ ও জনবান্ধব করে তোলার পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইজ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে স্মার্ট সেবার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ডাক অধিদপ্তর।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর কারিগরি সহযোগিতায় ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড পলিসি বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপ ‘সাথী’, মোবাইল এয়ারটাইমভিত্তিক সরকারি সেবার ফি পরিশোধ, স্মার্ট আর্টিক্যাল কালেকশন (চিঠি, ডকুমেন্ট, পার্সেল), স্মার্ট মোবাইল ডাকঘর এবং স্মার্ট পোস্ট বক্সের মতো স্মার্ট সেবার পাইলট কার্যক্রম শুরু করা হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপ ‘সাথী’ মূলত অ্যাপলের সিরি কিংবা আমাজনের অ্যালেক্সার মতোই একটি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপ হিসাবে চালু করা হচ্ছে। স্মার্ট নাগরিকের জন্য স্মার্ট সংযোগ। এটা এমন একটা সংযোগ ব্যবস্থা, যা হবে মানুষের সাথী বা পার্টনার। তার কাছ থেকে ব্যবহারকারী সব ধরনের তথ্য পাবেন। এটুআই উদ্ভাবিত এআই প্রযুক্তির ‘সাথী’ অ্যাপ জিরো রেট ও প্রতিটি মোবাইলে ডাউনলোড করার জন্য বিটিআরসি সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।
সরকারের সব ধরনের ডিজিটাল সেবা, পেমেন্ট সেবা ইত্যাদি এতে সংযুক্ত থাকবে। ফলে নাগরিকরা আগের চেয়ে মোবাইল ব্যবহার করে বেশি বেশি কাজ সহজে করতে পারবেন। এরইমধ্যে সাথী’র একটি প্রাথমিক ইন্টারফেস তৈরি হয়েছে। সাথী মোবাইল নম্বরের সঙ্গে ‘একীভূত’ করা থাকবে। মোবাইলে সিম চালু থাকলেই এটি সেটে সক্রিয় হবে না বরং মোবাইলে ইনস্টল করে নিতে হবে। তবে এটি ডাউনলোড করতে যাতে ব্যবহারকারীর কোনো ধরনের ডাটা (ইন্টারনেট) খরচ না হয় সেই ব্যবস্থাও থাকবে। সাথী যাতে মোবাইলে খুব বেশি জায়গা না নেয় সেটা নিয়েও ভাবা হচ্ছে। স্মার্ট ও ফিচার ফোন-দুই ফোনেই সাথী ব্যবহার করা যাবে। সাথীকে অ্যাপ স্টোর বা প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে।