অন-ক্যাম্পাস চাকরি : শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে শুরু করে ক্যাফেটেরিয়া, রাইটিং সেন্টার, কম্পিউটার সেন্টারগুলোতে কাজের সুযোগ আছে। তবে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য স্টুডেন্ট ইউনিয়নেও কিন্তু কাজ করা যায়। এতে করে অন্য ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা দেওয়ার বেশ সুযোগ থাকে। অন-ক্যাম্পাস কাজের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতা করে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। সাক্ষাৎকারের জন্য ভালো প্রস্তুতি ও আবেদনপত্র, সিভি, কভার লেটার ভালো লিখতে পারলে চাকরি পাওয়া সহজ হয়।
রেস্তোরাঁ, ক্যাফে ও বার : বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে ক্যাফে, রেস্তোরাঁ ও বারে ক চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্ট এবং পানশালাগুলোতেও শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাপ্রতি কাজ করার সুযোগ পায়। রান্নার দক্ষতা থাকলে ‘শেফ’ হিসেবে উঁচু বেতনেও চাকরি পাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে দিতে হতে পারে লাইসেন্স পরীক্ষা। ভালো যোগাযোগ দক্ষতা ও অতিথিদের সন্তুষ্ট করার গুণ থাকলে আয় করা সম্ভব।
কাস্টমার সার্ভিস : এ ধরনের কাজ বেশিরভাগ পার্টটাইম হয় । পড়ালেখায় তেমন প্রভাব পড়ে না। শুরুতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাই প্রথম অবস্থায় চাকরি হলেও অসুবিধা কম হয়ে থকে। নিজের সুবিধা অনুযায়ী কাজের শিফট সময় মতো পরিবর্তন করা যায়। লম্বা ছুটির সময় এখানে ফুলটাইম কাজ করা যায়।
কল সেন্টার : যাদের ভাষা দক্ষতা ভালো, কম্পিউটারের ওপর জ্ঞান আছে, যোগাযোগের দক্ষতা ভালো, যারা বন্ধুত্বপূর্ণ ও আত্মবিশ্বাসী তাদের জন্য কল সেন্টার ভালো পছন্দ। এ ধরনের কাজে একটু চাপ বেড়ে যায়, কিন্তু কমিশন পাওয়ার সুবিধা থাকায় আয় বেশি হয়। কাজ করার জন্য পণ্য, পরিষেবা ও কোম্পানি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হয়, যা প্রশিক্ষণ থেকে শিখে নিতে হবে।
ইন্টার্নশিপ করা : বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় এমন প্রায় সব বিষয়েই ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। পড়ার বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ পেলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করলে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে। অনেক সময় ইন্টার্নশিপ করে কিছু আয়ও করা যায়।